Category: Uncategorized

ঘর সাজানোর আইডিয়া

সুন্দর,সাবলীল ভাবে বাসা সাজানো আমাদের অনেকেরই কাম্য । পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখা চোখেরও আরাম এবং মনেরও শান্তি এনে দেয়। অনেকেরই ইচ্ছা থাকে হায় আল্লাহ্‌ আমার যদি ছবির মতন একটা বাড়ি থাকত। এটা কিন্তু ভুল ধারণা,কারন ইচ্ছা থাকলে এবং আল্লাহ্‌ সহায় হলে নিজের অবস্থানরত বাড়িটাকেই ছবির মতন করে গড়ে তোলা যায়।  আসলে প্রতিটি মানুষেরই সাজানো–গোছানোর রয়েছে স্বতন্ত্র  ধারা। কে কীভাবে বাড়ি সাজাবে, তা একদিকে যেমন নির্ভর করে তার ব্যক্তিগত রুচির ওপর, অন্যদিকে  তার শৌখিনতা আর চাহিদা অনুযায়ী। বাড়ি যেমনই হোক, নিজের হাতে যত্ন ও আদরে একটু বুদ্ধি নিয়ে  সাজালেই আপনার অন্তর আত্মা প্রশান্তিতে ভরে উঠবে।

 

পরিপাটি সাজের মূল কথা হলো সুন্দর করে থাকার অভ্যাসে গড়ে তোলা। প্রতিদিনের কাজের মধ্যে সমস্ত ঘর গুছিয়ে রাখাটা সাথে রান্নার ঘরটাও যোগ করুন। তাহলেই হয়তো আলাদাভাবে বাড়ি সাজানোর কথা ভাবতে হবে না। সঙ্গে যোগ করতে পারেন কিছু কৌশল।
সেন্টার টেবিলে একটা ফ্লাওয়ার ভাস। এই দৃশ্যপট বদলাতে আনুন প্রকৃতির ছোঁয়া। ভাসের বদলে একটি ছড়ানো পাত্র রেখে তাতে পানি দিয়ে ভাসিয়ে রাখতে পারেন নানা রঙের ফুল এবং ছোট ছোট মোম।

ফুল আর মোমের আলোর শুভ্রতা

সেন্টার টেবিলে একটা ফ্লাওয়ার ভাস। এই দৃশ্যপট বদলাতে আনুন প্রকৃতির ছোঁয়া। ভাসের বদলে একটি ছড়ানো পাত্র রেখে তাতে পানি দিয়ে ভাসিয়ে রাখতে পারেন নানা রঙের ফুল এবং ছোট ছোট মোম।

 

 

 

 

 

 

একটি বাটিতে আঠা ও জল মেশান। তাতে একটি উলের গোলা ফেলে দিন। এবার একটি বেলুন ফুলিয়ে তার গায়ে আঠা লাগানো উলের গোলাটি ছড়িয়ে দিন নিজের পছন্দের নকশা অনুযায়ী। আঠা শুকিয়ে গেলে বেলুন ফাটিয়ে দিন। ভিতরের ফাঁপা অংশে টুনির আলো ঢুকিয়ে দিন। তৈরি আপনার ‘থ্রেড ল্যান্টার্ন।’ ঘরের পছন্দের জায়গায় টাঙিয়ে দিন।

 

 

বাড়ির বারান্দায় বা ছাদে মোমবাতি জ্বালানোর চল বহু প্রাচীন। কিন্তু বসার জায়গায় সাজিয়ে তুলতে পারেন অভিনব আলোকসজ্জায়। হুলা হুপের চার পাশে টুনির আলো জড়িয়ে জড়িয়ে বানাতে পারেন হুলা হুপের ঝা়ড়বাতি। তার পর সিলিংয়ের কোনও অংশে ঝুলিয়ে দিন। অতিথিরাও চমৎকৃত হবে এই নতুনত্বে।.

আপনার অন্দরমহলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও রুচিপূর্ণ ঘর বসার ঘরটি। কেননা, মেহমান এসেই এই ঘরটিতে বসবেন এবং আপনাকে ও আপনার রুচির বিচার করবেন প্রধানত এই ঘরটি দেখেই।ভারী সোফাসেটের বদলে বেতের বা কাঠের তৈরি সোফাসেট, টেবিল রাখুন। আবার অনেক সময় আপনি মেঝেতেও বসার ব্যবস্থা করতে পারেন। বসার ঘরে কুশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তাই বিভিন্ন আকারের কুশন রাখা যেতে পারে। সোফার কাভার বা কুশন কাভারে জবরজং নকশা একদমই ভালো দেখাবে না। হালকা কাজ বা একরঙা কাভার ব্যবহার করুন। আপনার ঘরের রং বিবেচনা করে মানানসই একটি রং বেছে নিন। আপনি চাইলে নানা রঙে রঙিন করে তুলতে পারেন, আবার একই রঙের বভিন্ন শেড ব্যবহার করেও ঘর সাজাতে পারেন।হালকা শোপিস বা অ্যান্টিকের পিস রাখতে পারেন দেয়ালজুড়ে ছবি রাখা যেতে পারে। হতেই পারে পেইন্টিং বা ফ্যামিলি ফটো, তবে তা স্মার্ট ফ্রেমযুক্ত হলে ভালো হয়। আবার অনেক সময় আয়নার ব্যবহার পাল্টে দিতে পারে পুরো ঘরটাকেই। সাধারণত আয়না ব্যবহার করলে ঘরের আয়তন বেশি বলে মনে হয়।